ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম, বাংলাদেশ বেতার এ দেশের প্রথম এফ এম বেতার কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের সদর দপ্তর ১২১ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০ থেকে ২০০৫ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মে তারিখ সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে বেতার কেন্দ্রটি ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ই সেপ্টেম্বর ৩১ সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি, শের-ই-বাংলা নগর, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয় ।
বাংলাদেশ বেতারের ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম ঢাকা এবং এর আশে-পাশের শ্রোতাদের জন্য ৮৮.৮ মেগা হার্জে সকাল ৭.০০ টা থেকে রাত ৯.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে থাকে।বেতার কেন্দ্রটি ঢাকা মহানগরীর শ্রোতাদের মাঝে নিরাপদ সড়ক ও নৌ চলাচল নিশ্চিতকরণে অধিকতর সচেতন সৃষ্টির জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম প্রতিদিন শ্রোতা আকৃষ্টকরণে সমসাময়িক জনপ্রিয় গান প্রচারের পাশাপাশি সংবাদ, ট্রাফিক তথ্য সম্বলিত স্পট রিপোর্ট এবং জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। সীমিত জনবল নিয়ে চলা এই কার্যক্রমের জন্য প্রতিদিন শ্রোতা চাহিদা বিবেচনা এবং একই সাথে জনস্বার্থ তথ্য ও বার্তা যথাযথভাবে প্রচার একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। এরই প্রেক্ষাপটে, দাপ্তরিক কাজের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও গতিশীলতা আনয়নের জন্য ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে নিজস্ব উদ্যোগে একসিস ভিত্তিক গানের ডাটাবেজ “ট্রা.স.কা-ইভ” (ট্রাফিক সম্প্রচার কার্যক্রম আর্কাইভ) প্রনয়ন করে। শ্রোতাদের অনুরোধের গান তাৎক্ষণিকভাবে প্রচারসহ, অডিও ফাইল সংরক্ষণ ও গবেষণায় অনন্য ভূমিকা রেখেছে “ট্রা.স.কা-ইভ”। উদ্যোগটি জাতীয় পর্যায়ে “জনপ্রশাসন পদক ২০১৭”-এর জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়, যা তথ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বেতারের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
“ট্রা.স.কা-ইভ” ডাটাবেজের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করে আরো বৃহৎ পরিসরের কার্যক্রম হচ্ছে- “বাউল” (বাংলাদেশ বেতার অডিও লাইব্রেরি -BBAuL)। মূলত, বাউল ডাটাবেজ হচ্ছে একটি অনলাইন ভিত্তিক ডাটা এপ্লিকেসন সিস্টেম। প্রথম পর্যায়ে, ডাটাবেজে অনলাইন প্লাটফর্মে শুধুমাত্র অডিও কন্টেন্টের তথ্য সাজানো থাকবে এবং আলাদাভাবে লোকাল কম্পিউটারে সকল অডিও কন্টেন্ট ফোল্ডারে ফোল্ডারে সুবিন্যস্তভাবে সাজানো থাকবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, সকল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে অডিও ফাইল ডাটাবেজে আপলোড এবং সংরক্ষণ করা হবে। “বাউল” (BBAuL) ডাটাবেজের প্রথম পর্যায় থেকেই ডাটাবেজে বেতারের সকল কেন্দ্র ও ইউনিট অনুষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্য একই সাথে ইনপুট এবং আউটপুট দিতে ও নিতে পারবেন। অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন। একই সাথে ডাটাবেজের সকল তথ্য ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ ও গবেষণায় ব্যবহারের জন্য সুযোগ রাখা হবে।